এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড়ে মিলছে ‘মিতসুবিশি অ্যাট্রেজ’

এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড়ে মিলছে ‘মিতসুবিশি অ্যাট্রেজ’

ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রতিবাদে বিক্ষোভ : সা.সম্পাদকের কুশপুত্তলিকা দাহ

 

একটা বাড়ি কেনার পর সবারই একটা স্বপ্ন থাকে পছন্দের একটা গাড়ির। দেশের এমন গাড়িপ্রেমীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো দেশে মিতসুবিশির একমাত্র পরিবেশক র‌্যাগস লিমিটেড। মিতসুবিশি গাড়ির ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি ‘মিতসুবিশি অ্যাট্রেজ’ মডেলের গাড়িটি দেড় লাখ টাকা ছাড়ে এখন বিক্রি করছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। গাড়ির লুকিংটা চমৎকার। যেমনি দৈর্ঘ্যে তেমনে প্রস্থে। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সও মন্দ নয়। পাশাপাশি এটার মাইলেজও কিন্তু ভালোই মিলবে। প্রতি লিটার জ্বালানিতে গাড়িটি শহরে পাওয়া যাবে ১৫ কিলোমিটার মাইলেজ। আর মহাসড়কে পাওয়া যাবে আরও বেশি মাইলেজ। সব মিলে একটা ফ্যামিলির প্রতিদিনকার চাহিদা মেটাবে মিতসুবিশি অ্যাট্রেজ।

 

 

‌এ প্রসঙ্গে র‌্যাগস লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এবং হেড অব মার্কেটিং খান মো. সাকিব উস সালেহীন বলেন, ‘এটা একটা ফ্যামিলি কার। বাংলাদেশের জন্য বিশেষ ফিচার ও বিশেষভাবে অ্যাট্রেজ মডেলটি ডিজাইন করেছে। এটি জ্বালানি সাশ্রয়ী। ঢাকা শহরের রোড কন্ডিশনে এতে ১৫ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া গেছে। হাইওয়ে এতে আরও বেশি মাইলেজ পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস।’

 

খান মো. সাকিব উস সালেহীন বলেন, ‘বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে এ গাড়িটি বেশ মানানসই। কেননা, এ দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু, সড়কের অবস্থা, যানজট এসব নিয়ে জাপানের মিতসুবিশি গবেষণা করেছে। তারই ফলে মিতসুবিশির থাইল্যান্ডের কারখানায় বিশেষ বিশেষ ফিচার দিয়ে গাড়িটির ডিজাইন করা হয়েছে।’

 

 

গাড়িটিতে ১.২ লিটারের ১২ ভাল্বের থ্রি সিলিন্ডার ডিওএইচসি এমআইভিইসি (৩এ৯২) ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িটি ১১৯৩ সিসির। ৫ আসনের এই গাড়িটির ওজন ৯০০ কেজি। এতে ইনভিকস-৩ সিভিটি ইগনিশন ব্যবহার করা হয়েছে।

 

ইলেকট্রোনিক পাওয়ার অ্যাসিস্ট সমৃদ্ধ গাড়িটিতে ১৪ ইঞ্চির স্টিলের রিম ব্যবহার করা হয়েছে।

 

ক্রেতারা মিতসুবিশি অ্যাট্রেজ মডেলটি কেন কিনবেন, এর বিশেষত্ব কী জানতে চাইলে খান মো. সাকিব উস সালেহীন বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশের আবহাওয়া, জলবায়ু, সড়কের অবস্থার কথা চিন্তা করেই মিতসুবিশি অ্যাট্রেজ মডেলটি তৈরি করা হয়েছে। এটি ঝড়-বৃষ্টিতেও যেনো ভালো পারফর্মেন্স দেয় সেজন্য চেসিস ও বডিতে বিশেষ মেটাল কোটিং ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে একটানা অর্ধযুগ নির্বিঘ্নে অ্যাট্রেজ চালিয়ে যেতে পারবেন। আর গাড়িটিকে যত্নআত্তি করলে এটি দিয়ে যুগ পার করতে পারবেন। এর যন্ত্রপাতিও সারাদেশে পাওয়া যাচ্ছে।’

 

 

গাড়িটি কেনার প্রক্রিয়া সম্পর্কে খান মো. শাকিব উস সালেহীন জানান, ব্যাংকের ঋণ সুবিধা নিয়ে গাড়িটি কেনা যাবে। ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে বাকি টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। সেক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সুদ দিতে হবে। শুধুমাত্র সিটি ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে ঋণ সুবিধা নেয়া যাবে।

 

গাড়িটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৭০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে। এটি ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সময় নেবে মাত্র ১৪ সেকেন্ড এবং অল্প জায়গায় গাড়িটি ঘুরতে পারবে। এর টার্নিং রেডিয়াস ৪.৮ মিটার। ফলে সরু গলি কিংবা সংকীর্ণ জায়গায় গাড়িটি পার্কি করা যাবে। বলে জানালেন র‌্যাংগস লিমিটেডের কর্পোরেট সেলস বিভাগের এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ বদরুল হায়দার।

 

তিনি জানান, চারটি আলাদা আলাদা রঙে গাড়ি র‌্যাংগসের তেজগাঁও শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে।

 

মোহাম্মদ বদরুল হায়দার বলেন, ‘বর্তমানে দেশে এই মডেলের ১০০ টি গাড়ি রয়েছে। স্টক থাকা পর্যন্ত ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মিতসুবিশি অ্যাট্রেজ কেনা যাবে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment